রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!
আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই : ট্রাম্প

আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই : ট্রাম্প

স্বদেশ ডেস্ক: ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত’ দেশ আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তালেবান নেতাদের সাথে বৈঠক চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আফগানিস্তানের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বন্ধে দেশটির পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান তেমন কোনো ভূমিকা রাখছে না, এমনটি জানিয়ে এতে আক্ষেপই প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত বুধবার (২১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত, ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের মতো দেশেরও উচিত আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। প্রায় সাত হাজার মাইল দূর থেকে যুক্তরাষ্ট্রই আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। বিপরীতে বাকি দেশগুলোর তেমন ভূমিকা নেই।

ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তানের কাছেই ভারতের অবস্থান। কিন্তু তারা দেশটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে না। অন্য দিকে আফগানিস্তানের ঠিক পাশে রয়েছে পাকিস্তান। তারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে সেটি খুব অল্প পরিসরে; যা মোটেও ঠিক নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের মতো দেশকে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আমরা চাই না এ যুদ্ধ আরো ১৯ বছর ধরে চলুক।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের নিয়ন্ত্রণেই ছিল আফগানিস্তান। পরবর্তীতে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের যৌথ আগ্রাসনে তাদের ক্ষমতার অবসান হয়। এর পর থেকেই আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বর্তমানে তালেবান আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকার দখল নিয়েছে। তারা চায় সেখান থেকে বিদেশী সেনা সরিয়ে নেয়া হোক। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলা এ যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে।

সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম দফায় ‘শান্তি আলোচনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেটিকে দু’পক্ষের সমঝোতার ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ অধ্যয় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। যদিও ‘শান্তি আলোচনা’ ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে চলছে বলে জানায় উভয়পক্ষই, তবে এর মধ্যেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে আফগানিস্তানে।

সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশটির রাজধানী কাবুলে একটি বিয়ে বাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬৩ জন নিহত হন। আহত হন ১৮০ জনেরও বেশি। ফলে এসব হামলার পরও ওই আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েই এখন আশঙ্কা রয়েছে। আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার উদ্দেশ্যে দেশটিতে বর্তমানে ২০ হাজার ন্যাটো সেনা রয়েছে; যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের।

শান্তি আলোচনায় তালেবানের মূল দাবি ছিল, আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহার। অন্য দিকে নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত হলে তবেই বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ‘আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরিভাবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করলে তালেবান ফের দেশটি নিজেদের দখলে আনার চেষ্টা চালাবে না, এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই সেখান থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে’- এমনটিই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877